হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, হাজীরা এখন মিনার পথে।সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ ।কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান কা’বা তওয়াফের মাধ্যমে হজ কার্যক্রম শুরু করেছেন। এ বছর পূর্ণ ডোজ টিকাপ্রাপ্ত ১৫০ টি দেশ থেকে ১০ লাখ মুসলিম হজ পালনে মক্কায় সমবেত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। বাকিরা সৌদি আরবের নাগরিক। বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মুসল্লি। চলতি বছর করোনার বিধিনিষেধের কড়াকড়ি না থাকায় মাস্কবিহীন অবস্থায় হজ পালন করছে মানুষ।মক্কায় মসজিদুল হারাম চত্বরে স্বর্ণালী হরফ খচিত কালো কাপড়ে আবৃত পবিত্র কাবাগৃহের ‘তওয়াফ’ এবং অল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দোয়া চাওয়ার মাধ্যমে হজের প্রথম আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু ।আরব নিউজ জানিয়েছে, এই কয়দিন মিনা ও এর আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। হজপালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের পূর্বে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনা প্রান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাত্রীযাপন সুন্নত আমল। মিনাতে হাজীদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে।মিনাকে তাবুর শহর বলা হয়। এটা মক্কার পার্শ্ববর্তী এলাকা। মক্কা থেকে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাওয়ার মহাসড়কের পাশে মিনার অবস্থান। মিনার আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার।হজপালনের অংশ হিসেবে হজপালনকারীদের মিনায় অবস্থান করতে হয়। হজপালনকারীদের জন্য মিনায় প্রায় ১ লাখ অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এসব তাঁবুতে হজযাত্রীরা অবস্থান করে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।
অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এ বছর সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেয়ার আশা প্রকাশ করেছেন হজ প্রতিনিধি দলের প্রধান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সুষ্ঠু হজ পরিচালনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, হাজীদের নিয়ে মিনা যাত্রার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আগত ৬০ হাজার হজযাত্রীর জন্য ৩০ সদস্যের প্রশাসনিক দল, ১৩২ জন সহায়তাকারী, ১৪০ জন হজকর্মী, কারিগরিতে ৫৪ জন, ১৭ জন আইটি বিশেষজ্ঞ ও তিনজন মৌসুমী হজ কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন।
হাজীদের নির্বিঘ্নে হজ পালনের জন্য সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গরমসহ নানাবিধ কারণে কোনো হজযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছে। মক্কা, মিনা, আরাফাত ময়দান ও মুজদালিফায় বহু অ্যাম্বুলেন্স, অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব এলাকার পথে পথে হাজীদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য বিভিন্ন ভাষার কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৬জুলাই/জই