পাঁচ টাকার কয়েন দেবার প্রলোভনে সাত বছরের শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণ, ধর্ষক আটক। ফরিদপুরের সালথায় পাঁচ টাকার কয়েন দেবার প্রলোভন দিয়ে সাত বছরের এক শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম মো. দেলোয়ার হোসেন কুমকুম মিয়া (৫০)। তিনি গট্টি ইউনিয়নের সিহংপ্রতাব পশ্চিমপাড়ার মৃত জুলফিকার আলী মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত দেলোয়ারের স্ত্রীসহ দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা সবাই ঢাকায় থাকেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।ওই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে মেডিকেল টেস্টের জন্য তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে।
গট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু জানান, শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার সময় ধর্ষক দেলোয়ার শিশুটির হাতে পাঁচ টাকার কয়েন হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ির পাশে একটি গরুর ফার্মে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। গত কয়েকদিনে এভাবে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে শিশুটি নিজে চেয়ারম্যানের কাছে জানান। একপর্যায় বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে শুক্রবার রাতে দেলোয়ারকে ধরে মারধর করে। তবে সেসময় তাকে ছেড়ে দেয় তারা।ওই শিশুটির মা জানান, স্থানীয় মাতুব্বরেরা ঘটনা মিমাংসা করে দিতে চাইলে তাতে প্রথমে রাজি না হওয়ায় তার গলায় ধর্ষক দেলোয়ার ছুরি ঠেকিয়ে ধরে। একপর্যায়ে ভয়ে তিনি বিষয়টি মিমাংসা করাতে বাধ্য হন। এখন আমি মামলা করবো।
পরে এ খবরটি স্থানীয় সংবাদকর্মী ও চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে থানা পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যেয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন ও তার বয়ান গ্রহন করেন। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করে নিয়ে আসেন।শনিবার (২ জুলাই) বিকেলে অভিযুক্ত ওই ধর্ষককে আটক করে পুলিশ।ফরিদপুরের সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক জানান, শিশু ধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন কুমকুম মিয়াকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে তাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বিএসএমএমসি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মামলা করা হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৩জুলাই/জই