• বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতে সামরিক কৌশলের বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল পাকিস্তান

ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের মই দৌড় দেখতে হাজির হাজারো মানুষ

জহিরুল ইসলাম মিলন (টাঙ্গাইল) ধনবাড়ী
আপডেট : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের মই দৌড় দেখতে হাজি র হাজারো মানুষ।গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ে র মই দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে টাংগা ইলে ধনবা ড়ী উপ জেলার মুশুদ্দি ইউনিয়ননের সয়া গ্রামে। বিকে লে ধন বাড়ী উপজেলার সয়া শিংগা বিলে শুকনো মাঠে  অনু ষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। ষাঁড়ের মই দৌড় ঘিরে এলা কাজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।   

চারটি ষাঁড় ও গরুর সাথে মই নিয়ে তৈরি হয় একটি দল। প্রতি দলে দুইজন থাকেন নিয়ন্ত্রক হিসেবে। প্রতি বছরই এমন খেলার আয়োজন করেন সয়া এলাকাবাসী। হারিয়ে যাওয়া খেলাটি দেখতে আসেন হাজারো মানুষ।কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী গরু দৌড় প্রতিযোগিতা। তবে এখনও কোনো কোনো জেলায় ধরে রাখা হয়েছে পুরনো এই ঐতিহ্য। এর মধ্যে অন্যতম টাংগাইলে ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের সয়া গ্রাম প্রতি বছরের মতো এবারও সেখানে আয়োজন করা হয়েছিলো ঐতিহ্যবাহী গরু দৌড় প্রতিযোগিতা।

প্রতিযোগিতার পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিলো গ্রামীণ মেলা।প্রতিযোগিতায় টাংগাইল জেলাসহ আশ পাশের জেলা, উপজেলা থেকে আসেন প্রতিযোগিরা যেমন, ইসলাম পুর,বকশীগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, সরিষাাবড়ি হস ভিন্ন চরাঞ্চল থেকে নানা আকার ও রঙের শতাধিক গরু নিয়ে এসেছি লেন প্রতিযোগীরা।

সবমিলিয়ে আয়োজনটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিলো।খেলা দেখ‌তে আসা ধনবাড়ী উপজে লার সয়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ
ব‌লেন, ঐতিহ্যবাহী ষাঁড় দৌড় খেলা একটি প্রাচীন খেলা। এই খেলার আয়োজন আমাদের বাবা-দাদার আমল থেকে চলে আসছে,এই খেলাটিকে আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে দেখার জন্য ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আছি।

কাশেম আলী বলেন, অনেক দূর থে‌কে ষাঁড়ের দৌড় দেখতে এসেছি। এই খেলা আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। যেখানেই প্রতিযোগীতা হয় সেখানেই ছুঁটে যাই। আমরা চাই এমন খেলা যেন প্রতি বছর আয়োজন করা হয়।

খেলায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগী রশীদ জানান, এটা আমাদের বংশের ঐতিহ্য। আগে দাদা এই ষাঁড় দৌড়ে অংশগ্রহণ করতেন। এরপর আমার বাবা, এখন আমি। অনেকদিন ধ‌রে এই খেলার সঙ্গে যুক্ত। যেখা‌নেই খেলা হয় আ‌মি সেখানেই দল নিয়ে ছুঁটে যাই।

আয়োজক কমিটি বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই খেলা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এমন আয়োজন। খেলায় পুরস্কার হিসেবে থাকে টিভি, সেলাইমেশিন, ফ্যান ঠিলা, সহ  বিভিন্ন উপহার।এটা দেখতে ভিড় করে হাজারও নারী-পুরুষ। এ যেন মানুষেরই মিলন মেলা। যান্ত্রিক জীবনে হাঁপিয়ে উঠা মানুষজন অল্পকিছু সময়ের জন্য হলেও এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। পরিবার পরিজন নিয়ে গরু দৌড় দেখতে আসেন সবাই। গরু দৌড়কে কেন্দ্র করে আশপাশের মানুষের মনে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। শত বছরের ঐতিহ্যবহন করে  এই গরু দৌড়। প্রতিযো গিতা উপলক্ষে সেখানে বসে দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা।

এ যেন হিন্দু, মুসলিম সববয়সী নারী-পুরুষের মিলনমেলা।
গ্রাম-বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী গরু দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন জনম জনম ধরে অব্যাহত থাকুক-এমনটিই প্রত্যাশা গ্রাম বাসির।

Economist/23December/ZI/Sports


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ