আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে।সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর।যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে ইতিহাসের অন্যতম বড় সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস।মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছানোর পর বেগুনি গালিচায় রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এসময় রানওয়েতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান স্বয়ং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এরপরই ট্রাম্পকে গার্ড অব অনার জানানো হয় সৌদি রাজকীয় আদালতে। এসময় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, জ্বালানীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সৌদি রাজ পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে ট্রাম্পের সাথে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, ব্যবসায়ী এবং প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টাসহ মার্কিন মন্ত্রিসভার অনেকেই।
এরপরই বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আলোচনা করেন নানা ইস্যুতে। এসময় দুই নেতা বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে প্রায় ৬শ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির জন্য সমঝোতা হয়েছে। যার মধ্যে ১৪২ বিলিয়ন ডলার শুধু সামরিক খাতেই।
বৃটিশ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়,নতুন স্বাক্ষরিত এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহ করবে, যার মূল্য প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার।
হোয়াইট হাউস একে ‘ইতিহাসের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বিক্রয় চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় এক ডজনেরও বেশি মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি সৌদি আরবকে সর্বাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সামরিক সেবা দেবে। এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে এটিই সবথেকে বড় সামরিক চুক্তি।
এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, পৃথিবীতে আমরাই সেরা সামরিক সরঞ্জাম তৈরী করি। আমাদের ফাইটার জেট, মিসাইল সিস্টেম, প্যাট্রিয়ট সবকিছুই সেরা। আমাদের কাছ থেকে এসব সরঞ্জাম কেনার যে সিদ্ধান্ত আপনারা (সৌদি আরব) নিয়েছেন তাকে আমি স্বাগত জানাই।
এসময় সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সৌদি যুবরাজকে বিচক্ষণ নেতা হিসেবে আখ্যা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, সময়ের সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে সৌদি আরবের। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান একজন বিচক্ষণ নেতা। আমি আশা করছি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সম্পর্ক আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
Economist/17May/ZI/Politics