বৃটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির বিশাল জয়লাভ – ঋষি সুনাকের পরাজয় স্বীকার।লেবার পার্টির ভূমিধস জয়লাভের ফলে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন স্যার কিয়ের স্টারমার।বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বৃটেনের (যুক্তরাজ্য) সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি ভূমিধস জয় পেয়েছে এবং এর ফলে স্যার কিয়ের স্টারমার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। আর এর সাথে সাথেই কনজারভেটিভ দলের একটানা ১৪ বছর ক্ষমতার অবসান হচ্ছে।বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়,নির্বাচনের ফল ঘোষণা শেষ হলে ঋষি সুনাক রাজা চার্লসের কাছে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিবেন। বৃটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস স্টারমারকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন। বিবিসি আরও জানায়,এসব সাক্ষাত অনুষ্ঠান সাধারণত বাকিংহাম প্যালেসে হয়ে থাকে।
নিজের আসনে জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের লেবার পার্টির নেতা স্টারমার বলেছেন ‘পরিবর্তনের সূচনা হলো এখান থেকেই..এটা আমাদের জন্য দেয়ার সময়’।এদিকে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইতোমধ্যেই নির্বাচনে তার দল কনজারভেটিভ এর পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী লেবার পার্টির প্রধান স্টারমারকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।রিফর্ম ইউকে দলের নেতা নাইজেল ফারাজ এবার প্রথম বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। এছাড়া লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিনও নিজের আসনে জয় পেয়েছেন। জর্জ গ্যালাওয়ে নিজের আসনে হেরে গেছেন। স্কটল্যান্ডে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডগলাস রস তার আসনে পরাজিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে জিতেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী সিমাস লগান।
বিবিসির পূর্বাভাস মতে লেবার পার্টি ৪১০টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে, আর কনজারভেটিভ পার্টি পাবে ১৪৪টি আসন। এর আগে বুথ ফেরত জরিপেও লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়ের কথা বলা হয়েছিল। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাটসরা ৬১টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে থাকতে পারে। এর বাইরে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির আসন কমে দশে আর রিফর্ম ইউকে পেতে পারে তেরটি আসন।
স্যার জন কারটিস এবং একদল পরিসংখ্যানবিদদের তত্ত্বাবধানে করা এই বুথ ফেরত জরিপের জন্য ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের ১৩০টি ভোট কেন্দ্রের ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ড এই জরিপের আওতায় আসেনি। গত পাঁচটি সাধারণ নির্বাচনে বুথ ফেরত জরিপের সত্যতা ছিলো ১ দশমিক ৫ থেকে সাড় সাত শতাংশ আসনের মধ্যে।
এই জরিপ সত্যি হলে এটা হবে লেবার পার্টির জন্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। দলটি যুদ্ধ-উত্তর সময়ে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বাজে ফল করেছিলো। তখন আশি আসন বেশি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলো বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি।
bdnewseu/6July/ZI/uk