একটি কর্মরত পরিবার প্রধানের মৃত্যু এই পরিবারের সারা জীবনের কান্না: বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার।ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বেসামরিক প্রশাসনে কর্মরত অবস্থায় স্থায়ীভাবে অক্ষম ও মৃত্যুজনিত কারণে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ১০টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৭৬ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। ৯জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে মৃত্যুজনিত কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে ৮লাখ করে ৭২ লাখ এবং একজন ফায়ার ফাইটার কর্মরত অবস্থায় আহত হয়ে অক্ষম হওয়ায় তাকে লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সোহরাব হোসেন, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায় ও সিভিল সার্জন মো. হুমায়ুন কবির। এছাড়াও এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাওছার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অন্তরা হালদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিলা রহমান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম এবং জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহারিয়ার এবং ৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে আহত কর্মক্ষম ফায়ার ফাইটার মিলন মিয়া ও মৎস বিভাগের সম্প্রসারণ কর্মকতার্ মোঃ জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী আসমা বেগম বক্তব্য রাখেন।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার বলেন, যে পরিবারের প্রধান মৃত্যু বরণ করেছে সেই পরিবারের কান্না চিরদিনের। এই অর্থ দিয়ে এই চিরদিনের কান্নাকে থামানো যায় না। তবে এই অর্থ পরিবারকে হাতছাড়া না করে সরকারের বিনিয়োগকারী বিশেষ করে জাতীয় সঞ্চয়পত্র কিনে রাখার পরামর্শ দেন। এই টাকা একবার হাতছাড়া হলে পরবর্তীতে আর পাওয়া যায় না এবং এই পরিবারটি তখন অজানা সঙ্কায় কাটাতে হয়।
এই ১০জন প্রায়াত মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন কনস্টেবলের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার, পোষ্টাল অপারেটর কাঠালিয়ায়র ফোরকান আহম্মেদের ্স্ত্রী ডলি বেগম, সদরের পোষ্টম্যান মোঃ মোশাররেফ হোসেনের স্ত্রী পারুল বেগম, ডাক বিভাগের রানার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী বিউটি বেগম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট
আদালতের স্টোনটাইপিস্ট কাম-কম্পিউটার অপারেটর লক্ষন চন্দ্র সাহার স্ত্রী দেবযানী সাহা, কনস্টেবল মোঃ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ কামাল হোসেনের স্ত্রী হেনারা বেগম, সারেংগল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাম্মি আক্তার জাহান ও জেলা মৎস্য বিভাগের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী আসমা আক্তারকে ৮লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয় এবং একই সাথে ফায়ার ফাইটার মোঃ মিলন মিয়াকে ৪লাখ টাকাার চেক প্রদান করা হয়।
Economist/11May/ZI/Jalokati