নির্বাসিত হওয়ার কি যে যন্ত্রণা
শেখ মোঃ সুরুজ আলী সূর্য
এখনও সেই বেলার কন্ঠধ্বণি শুনতে পাই,
এখনও তোমার মুখ ছবি আমার আঁখিতে
ভাসে,
আস্তে আস্তে বিলের মেঠো পথে তোমার হেঁটে চলা
রাজা হাঁস,বক পাখপাখালিদের দলবাঁধা
খেলা
তোমাকে প্রখর রৌদ্রে বেশ আনন্দ দিয়েছিল
তুমি এক পথ থেকে অন্য পথে সঙ্গীবহীন
আর
আমি আলসে গাছের ছায়ায়
উড়ন্ত পাখির খসে পড়া পালকের পালক
গুনেছিলাম
অথচ তুমি সহসা হেঁটে যাচ্ছিলে।
নিম্ন ভূমি থেকে ঊর্বাকাশ
মেঠো পথ থেকে বিশাল রৌদ্রমাখা
আকাশ
তখনও তুমি আমায় চেয়ে দেখনি
দুই আঁখি আর মায়াবী চাহনি
ভ্রু গুলো কেঁপে কেঁপে উঠছে ফের প্রখর রৌদ্রে কিরণে
দাঁড়ানোর সময় নেই তোমার
প্রাণপণে হেঁটে যাচ্ছিলি তুমি
মাথার উপরে উড়ন্ত শালিক পাখি
দল পাকিয়ে উড়েছিল
তাদের চাহনিতে কি দারুণ ভালোবাসা ছিল
দেখেছিলাম অসংখ্যবার।
তোমার এমন কি ব্যস্ততা ছিলো
আমার জানাছিল না,
রৌদ্রে-রৌদ্রে নিঃশ্বাস ফেলে ফেলে
ভেবেছিলাম তোমারি ব্যস্ততার কথা
তোমার হাঁটাকে আর তো থামানো যায়নি।
এখন বুঝি কি এমন ব্যস্ততা তোমাকে আঁকড়ে ধরেছিল সেইদিন
এখন আমি সমস্ত মেঠো পথ ঘুরে এসে
ক্লান্ত হয়ে ঐ বৃক্ষের ছায়ায় বসে ভাবি
আপন গৃহ থেকে নির্বাসিত হওয়ার
কি যে যন্রণা,
আজ আকাশের বুকে রৌদ্রের প্রখরতা নেই
উড়ন্ত পাখির দল নেই
মেঠো পথ স্থির ও নিঃস্ব হয়ে পড়ে আছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ টুয়েন্টি ফোর ডটকম/৩ মার্চ/ জ ইসলাম