ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির পদত্যাগ ।প্রধানমন্ত্রী মারিও তার ঐক্য সরকারের ভগ্নাংশকে একত্রিত করার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেছেন।ইতালির রাজধানী রোম থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ইতালির জাতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেলার কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট দ্রাঘির পদত্য্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন কিন্তু তাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় থাকতে বলেছেন।এই পরিবর্তনের অর্থ হতে পারে, ইতালি পরের বছর অনুষ্ঠিতব্য নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচনের পরিবর্তে ।আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের মত একটি নির্বাচনের দিকে যেতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে,ইতালি করোনা ভাইরাস মহামারী এবং ক্ষীণ অর্থনীতির প্রভাব মোকাবিলা করার সময় অর্থাৎ ২০২১ সালে মারিও দ্রাঘি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
ইতালির প্রেসিডেন্ট মাতারেলা গত সপ্তাহে দ্রাঘির পদত্যাগের পূর্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং ক্ষমতাসীন জোটকে একসাথে রাখার উদ্দেশে আইনপ্রণেতাদের কাছে আবেদন করার জন্য দ্রাঘিকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রধান দল আস্থা ভোট বর্জন করে যা দ্রাঘিকে তার পদত্যাগপত্র জমা দিতে প্ররোচিত করে।৭৪ বছর বয়সী মারিও দ্রাঘীর বিধায়কের ফলে ইতালির মুদ্রাস্ফীতি, বাজেট বিলম্বিত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের করোনা মহামারির তহবিল হুমকিতে পড়তে পারে। ইতালি ও ইউরোপের অর্থ ও বাণিজ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এমনটিই মনে করছে বলে জানা গেছে।
সবশেষ জাতীয় ঐক্যের সরকারের যে ধারণা নিয়ে এগিয়েছিলেন দ্রাঘী, তা ইতালি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ইতিবাচক হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন নির্বাচন বা আরেকটি জোট সরকার আসতে দুই থেকে চারদিন লাগতে পারে। তবে সামনের শরতে নির্বাচন হলে অভিবাসনবিরোধীরা ক্ষমতায় আসার ব্যাপক শঙ্কা তৈরি হয়ে যাবে। বিভিন্ন জনমত জরিপও তাই বলছে। ইতালিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য যা আসলে শঙ্কার কথাই।
তথ্যসূত্র:এপি,রয়টার্স,ভয়েস অফ আমেরিকা ও সংবাদ সময়
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২২জুলাই/জই