• শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জীবন রক্ষার্থে কতিপয় ব্যক্তিবর্গ কে মানবিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল: আইএসপিআর সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে

বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটিঃজাতিসংঘ

কবির আহমেদ কূটনীতিক বিশ্লেষক আন্তর্জাতিক ডেক্স থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২

বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটি।বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম এ তথ্য জানিয়েছেন। ৭০০ কোটি থেকে এ সংখ্যায় পৌঁছাতে সময় লাগল এক যুগ। একই সময়ে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্বজুড়ে অভাব, উদ্বাস্তু ও অভিবাসন সংকটের মধ্যে বিশাল জনসংখ্যা অনেকের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিতে পারে। তবে আতঙ্ক নয়, একে উদযাপনের বিষয় মনে করে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, জনসংখ্যার এই হিসাব মূলত বিশ্বজুড়ে মানুষের দীর্ঘ আয়ু ও স্বাস্থ্যকর জীবনমানের বহিরপ্রকাশ।

সর্বশেষ শত কোটিতে পৌঁছাতে সময় লাগল ১২ বছর। বিষয়টি উল্লেখ করে জাতিসংঘ জানিয়েছে, জনসংখ্যা আরো ১০০ কোটি বাড়তে অর্থাৎ ৯০০ কোটিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে ১৫ বছর। ধীরে ধীরে জনসংখ্যা বাড়ার হার আরো কমতে থাকবে। ৯০০ কোটি থেকে হাজার কোটিতে পৌঁছাতে লাগবে ২১ বছর।
১৯৫০ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ১৯৬৩ সালে দাঁড়ায় ২ দশমিক ২৭ শতাংশে। এরপর ধীরে ধীরে নিচের দিকে নেমে আসে। ১৯৯০ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নেমে আসে ১ দশমিক ৫ শতাংশে। ২০২০ সালে নামে ১ শতাংশের নিচে। জাতিসংঘের ভবিষ্যদ্বাণী, ২০৪০ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দশমিক ৫ শতাংশে নেমে যাবে, আর ২০৮৬ সালের পর হবে শূন্যেরও নিচে। অর্থাৎ এরপর থেকে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা কমতে থাকবে।

বিভিন্ন কারণেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুমৃত্যু হ্রাস, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপকতা ও কর্মজীবী নারীদের সন্তান কম নেয়া। ৮০০ কোটি জনসংখ্যার মাইলফলক স্পর্শ করার এ ঘটনা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ কিনা এ আলোচনা এখন প্রাসঙ্গিক। তবে এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু দেখছেন না জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম।

তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, এটি বিশ্বের জন্য আনন্দের খবর। প্রত্যাশিত গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যু কমে আসায় মানুষের মোট সংখ্যা বেড়েছে। এটি নির্বিবাদে প্রশংসনীয়। আমি বুঝতে পারছি, ব্যাপারটি সবাই পছন্দ করছেন না। তবে এটি নিছকই একটি সংখ্যামাত্র। এ নিয়ে ভয়ের কিছু্ই নেই।

এ বিপুল সংখ্যক মানুষ আসলেই গ্রহের জন্য বোঝা কিনা এমন প্রশ্নে নাটালিয়া কানেমের জবাব, সংখ্যা কোনো সমস্যা নয়। মূল সমস্যা সম্পদের সুষম বণ্টনে বলে জানান তিনি।

বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১৬নভেম্বর/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ