• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
হঠাৎ করে আফগানিস্তানে ব্যাপক বিমান হামলা করল পাকিস্তান বিএনপি নেতা পিন্টু ১৭ বছর পর জামিনে মুক্ত কাশিমপুর কারাগার থেকে গ্রিসের প্রাক্তন রাজ পরিবার তাদের গ্রিক নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছে গ্রিসের ট্যাক্স ত্রুটি এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধনযোগ্য বলছেন গ্রিক সরকার পুলিশ উত্তর এথেন্সের ‘ঘেটো’-তে ক্র্যাকডাউন অভিযান শুরু করেছে প্রাক্তন রাজপরিবারের নস্টালজিয়া কাজ যা গ্রিক জনগণ কে পুণরায় ভাবাচ্ছে গ্রিসের ভার্কিজায় ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি আহত কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যক্রমে গতিশীলতায় ফিরেছে :কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর কমিটি স্থগিত সমন্বিত প্রচেষ্টায় ধনবাড়ীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করা সম্ভব ইউএনও আবু সাঈদ শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে বাংলাদেশের চিঠি

যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানো অবৈধ

কবির আহমেদ কূটনৈতিক বিশ্লেষক আন্তর্জাতিক ডেক্স থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩

যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানো অবৈধ।দুই-এক রায়ে বিভক্ত আপিল আদালতের তিন বিচারক বলেছেন, রুয়ান্ডাকে “নিরাপদ তৃতীয় দেশ’” হিসেবে এমন বিবেচনা করা চলে না যেখানে অভিবাসীদের পাঠানো যেতে পারে ।বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) যুক্তরাজ্যের একটি আদালত রায় দিয়েছে যে সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় কেবল মাত্র ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা করে যে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে তা অবৈধ। আদালতের ঐ রায়ে রক্ষণশীল প্রশাসন যে ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছে তাকে দুই-এক রায়ে বিভক্ত আপিল আদালতের তিন বিচারক বলেছেন, রুয়ান্ডাকে “নিরাপদ তৃতীয় দেশ’” হিসেবে এমন বিবেচনা করা চলে না যেখানে অভিবাসীদের পাঠানো যেতে পারে।

বিবিসি ও ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে,
বিচারকরা বলেছেন, আশ্রয়প্রার্থীদের অন্য দেশে ফেরত পাঠানোর নীতি অবশ্যই অবৈধ নয়। সরকার এই রায়কে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। আপিল করার জন্য ৬ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক অভিবাসন প্রার্থীদের “নৌকাগুলোকে আসা বন্ধ করার” অঙ্গীকার করেছেন। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাসের আশায় আসা অভিবাসী বহনকারী ডিঙ্গি এবং অন্যান্য ছোট জাহাজের কথা তিনি উল্লেখ করেন। শুধুমাত্র ২০২২ সালে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে এবং ঐ সময় সেই প্রচেষ্টায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারায়।

এক বছরেরও বেশি সময় আগে ব্রিটেন এবং রুয়ান্ডার সরকার একমত হয় যেসব অভিবাসী পালিয়ে বা ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে আসবে তাদেরকে রুয়ান্ডায় ফেরত পাঠানো হবে এবং সেখানে তাদের আশ্রয়ের দাবির প্রক্রিয়ার কাজগুলো করা হবে। যারা আশ্রয় পেয়ে যাবেন তারা ব্রিটেনে ফিরে না গিয়ে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে থাকবেন।

ব্রিটিশ সরকার যুক্তি দেখায় যে এই নীতি গ্রহণের ফলে অপরাধী চক্রগুলি যে বিপজ্জনক ভাবে অভিবাসীদের নিয়ে আসার জন্য (ইংশিল চ্যানেলে) একটি ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করে নিয়েছিল তা ভেঙে দেয়া আর ওটাই হচ্ছে বিশ্বের ব্যস্ততম জাহাজ চলাচলের পথ।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, অভিবাসনপ্রার্থীদের এমন একটি দেশে পাঠানো অনৈতিক ও অমানবিক যেখানে তারা বসবাস করতে চায় না। বিশেষত ৬,৪০০ কিলোমিটার দূরত্বের দেশটিতে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো যুক্তি দেখিয়েছে যে বেশিরভাগ চ্যানেল দিয়ে আসা অভিবাসীরা একরকম মরিয়া মানুষ যাদের ব্রিটেনে আসার কোনও বৈধ উপায় নেই। তারা রুয়ান্ডার দুর্বল মানবাধিকার রেকর্ডের কথাও উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সরকার বিরোধী লোকজনের উপর নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ।

চুক্তিটির আওতায় ব্রিটেন ইতোমধ্যে রুয়ান্ডাকে ১৭ কোটি ডলার প্রদান করেছে কিন্তু এখনও কাউকে সেখানে ফেরত পাঠানো হয়নি।


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ