ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন।ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে দূতাবাস কর্মকর্তাগণ অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করেন।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স ও কাউন্সেলর জনাব মোঃ তারাজুল ইসলাম কর্তৃক দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কমিউনিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর তিনি দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও অস্ট্রিয়া বিএনপি সহ বিভিন্ন সামা জিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুস্প স্তবক অর্পণ করা হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।
চার্জ দ্য এফেয়ার্স ও কাউন্সেলর তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, সম্ভ্রমহারা মা-বোন ও নয় মাস ব্যাপী যুদ্ধে ত্যাগস্বীকারকারী বীর মুক্তি যোদ্ধাদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃত জ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন আমাদের মুক্তি যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের মাধ্যমে রাজনৈ তিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে বিজয়ের অর্ধ-শতাব্দি পরেও আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জিত হয় নি। এ প্রেক্ষিতে, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার চরম আত্মত্যাগ আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। ১৯৭১ সালে বিজয়ের মাধ্যমে বৈষম্যবিলোপ এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির যে সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান আমাদেরকে সে সুযোগটি পুনরায় এনে দিয়েছে।
অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে যারা উপস্থিত ছিলেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম অস্ট্রিয়া বিএনপির সভাপতি নেয়ামুল বশির, সাধারণ সম্পাদক হানিফ ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টা জনাব ফজলুর রহমান বকুল,দেলোয়ার হোসেন,হাওলাদার আনোয়ার কামাল, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও আকতারু জ্জামান শিবলী প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির ইমাম শায়খ আব্দুল মতিন আজহারি, শায়খ মমিনুল ইসলাম এবং শায়খ আবু মুসা।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবি, মুক্তিযুদ্ধের সকল আত্নোৎসর্গকারী এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে মধ্যান্হ ভোজে আপ্যায়নের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।
Economist/17December/ ZI/ Vienna