রংপুরে বিজয় দিবসের কর্মসূচি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ ও উদ্বেগ।এই ১৬ ডিসেম্বর ছিল ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম বিজয় দিবস। তাই আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে এ বছরে পূর্বের বছর গুলোর চেয়ে আরো জাঁক জমক পূর্ণভাবে রংপুর বিভাগীয় শহরের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় কর্মসূচি পালিত হবে বলে আশা করে ছিল রংপুরবাসী। কিন্তু এ বছর ১৬ ডিসেম্বর রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোনো সাংস্কৃতিক কর্মসূচি না থাকা য় যে ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে স্থানীয় সামা জিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বে গের জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সামা জিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ অঞ্চলের বিভিন্ন সামা জিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উদ্বেগের সহিত তাদের মত প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলন, রংপুর জেলার আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান বলেন, সত্যি কথা বলতে ব্যক্তিগতভাবে একজন রাজনৈ তিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে আমাকে এ বিষয় খুবই আশাহত করেছে। আমি এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও সংশয় প্রকাশ করছি। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের সুনজর আশা করছি এবং সেই সাথে বিচ্ছি ন্নতা নয় সামগ্রিকভাবে ঐক্যের সাথে কিভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গন গুলোকেও ঠিক করা যায় সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে সবাইকে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন রংপুর জেলা সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির চিনু বলেন, মহান বিজয় দিবসের এই কর্মসূচি নিয়ে প্রশাসনের এইগাফি লতি কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। সবকিছু যেহেতু প্রশাস নিক ভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাই এ বিষয়ে পূর্ব থেকেই প্রশাস নের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করা জনমনের কাছে নানান উদ্বেগ এবং সংশয় তৈরি করেছে।
আনন্দপাঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কবি আহমেদ মওদুদ বলেন, বিজয় দিবসে রংপুর শহীদ মিনারের এই চিত্র আমাদেরকে সত্যিই ভাবিয়ে তুলছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাহত! এ শূন্যতা আমাদের জন্য কষ্টকর। আশা করি এ শূন্যতার কার্যকারণ পাওয়া যাবে।
এছাড়াও রংপুরের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলা হলে তারাও এ বিষয়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানিয়েছেন। সকলের দাবি পরবর্তীতে যেন জাতীয় দিবস উদযাপনে কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি পরিলক্ষিত না হয়।
Economist/17December/ZI/Pongpur