• বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতে সামরিক কৌশলের বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল পাকিস্তান

জাপানের সুজুকি মোটরসের কর্ণধার ওসামু সুজুকি মারা গেছেন

Kabir Ahmed Diplomatic Correspondents at Economist
আপডেট : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

জাপানের সুজুকি মোটরসের কর্ণধার ওসামু সুজুকি মারা গেছেন।বিশ্বখ্যাত সুজুকি মোটরসের কর্ণধার ওসামু সুজুকি গাড়ি ও মোটরসাইকেল (অটো মোবাইল) প্রস্তুতকারী জাপানি কোম্পানি সুজুকি মোটরসের চেয়ারম্যান ওসামু সুজুকি মারা গেছেন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জাপানের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এতথ্য জানায়। সংবাদ বলা হয়,২৫ ডিসে ম্বর রাজধানী টোকিওর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন তিনি। দেরিতে
তার মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের কোনও কারণ উল্লেখ
করা হয়নি।

লিম্ফোমা নামক এক প্রকার রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত
হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৪ বছর বয়স্ক ওসামু মারা যান বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সুজুকি মোটরস।ওসামু সুজুকি তার সময়ের সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। মূলত তার সুদূরপ্রসারী বাণিজ্যিক পরিকল্পনার সুবাদেই সর্বপ্রথম মধ্যবিত্তের নাগালে আসে মোটরগাড়ি।

বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের সীমিত বাজেটের লোকজনদের প্রথম গাড়ি বলা হয় যেটিকে, সেই মারুতি-সুজুকি’র বাজারে আসা অসম্ভব হয়ে পড়তো যদি তিনি এর পেছনে না থাকতেন। তিনি ছিলেন সেইসব শিল্পপতি দের দলে, যারা সস্তার মধ্যে সেরা পণ্য গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে চাইতেন। এখন পর্যন্ত সুজুকির প্রধান গ্রাহক মূলত মধ্যবিত্ত লোকজন।

ওসামু ব্যবসায়ীক পরিবার থেকে আসেননি। বিয়ে করার আগ পর্যন্ত তার নাম ছিল ওসামু মাৎসুদা এবং কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ব্যাংকে চাকরির মধ্যে দিয়ে। গত শতকের পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সুজুকি মোটরসের তৎকা লীন মালিকের মেয়েকে বিয়ে করেন ওসামু। তখনও ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।

সুজুকি মোটরসের মালিকের কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় এক সময় কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্ব আসে তার হাতে। জাপানের সংস্কৃতি অনুসারে, স্বামী যদি স্ত্রী বা শ্বশুরের কোনো বড় স্থাবর সম্পত্তির মালিক হন, তখন নিজের নামের পদবি বাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ির পদবি গ্রহণ করতে হয়। সেই রীতি মেনে ‘মাৎসুদা’ পদবি বাদ দিয়ে ‘সুজুকি’ এবং ১৯৫৮ সালে সুজুকি মোটরসের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব নেন।

তিনি যখন কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীর পদে আসেন, সে সময় লোকসান ও ব্যাংক ঋণের চাপে প্রায় ডুবতে বসে ছিল সুজুকি মোটরস। দায়িত্ব গ্রহণের পর ধীরে ধীরে কোম্পানিকে সেই অবস্থা থেকে টেনে তোলেন তিনি।

আজ সুজুকি মোটরসের যে অবস্থা, তার শুরু ৭০ এবং আশির দশকে। ১৯৭১ সালে ভারতের গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি মারুতির সঙ্গে অংশীদার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয় সুজুকি মোটরস এবং সেই চুক্তির ফসল মারুতি-সুজুকি গাড়ি, যা ইতোমধ্যে ভারতীয় মধ্যবিত্তের প্রথম গাড়ি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পরে ১৯৭৯ সালে ‘অল্টো মিনিভেহিকেল’ নামের একটি গাড়ি বাজারে ছাড়ে সুজুকি মোটরস, যা সে সময় মধ্যবিত্ত ক্রেতা-গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

ব্যক্তিগত জীবনে মিতব্যয়িতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন ওসামু সুজুকি। এসির খরচ বাঁচাতে তিনি তার অফিস ও কারখানার ছাদ বিশেষভাবে তৈরি করেছিলেন, বিমান ভ্রমণের বেলায় সবসময় ইকোনমি ক্লাস বেছে নিতেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনেও কোনো আড়ম্বরতার ছাপ তার মধ্যে ছিল না বলে জানিয়েছেন ওসামুর পরিচিত ও স্বজনরা।
Economist/28December/ZI/Japan


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ