• শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জীবন রক্ষার্থে কতিপয় ব্যক্তিবর্গ কে মানবিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল: আইএসপিআর সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে

অবশেষে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত‍্যাগ

Kabir Ahmed Diplomatic Correspondents at Economist
আপডেট : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫

অবশেষে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত‍্যাগ।যুক্তরাজ্যের (ব্রিটেন) ইকনোমিক সেক্রে টারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার টিউলিক সিদ্দিক পদত‍্যাগ করেছেন।মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এতথ্য জানিয়েছে। বাংলা দেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসার পর থেকেই তার ওপর পদত‍্যাগের চাপ বাড়ছিল। সম্প্রতি বাংলা দেশে দুর্নীতির একটি মামলায় তার মা, ভাই, বোন ও খালার পাশাপাশি তাকেও আসামি করা হয়েছে। তবে টিউলিপ সিদ্দিক বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ।

হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের স্ট্যান্ডার্ডস উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে পুরো ঘটনা তুলে ধরেছিলেন। সেই সাথে জোর দিয়েছিলেন যে তিনি কোনও ভুল করেননি।

তিনি বলেন, স্যার লরি যখন দেখেছেন যে তিনি মন্ত্রী পর্যায়ের নিয়ম লঙ্ঘন করেননি, তারপরেও “এটা স্পষ্ট যে ট্রেজারির অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে আমার ভূমিকা অব্যাহত রাখা সরকারের কাজ থেকে বিচ্যুতি ঘটাতে পারে।” লেবার এমপি এমা রেনল্ডসকে ট্রেজারির নতুন অর্থনৈতিক সচিব নিযুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে,টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালে উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেইট আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন, যে আসনটি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আসন হবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাসের লাগোয়া। মন্ত্রী হিসাবে টিউলিপ সিদ্দিকের দায়িত্ব ছিল যুক্তরাজ্যের আর্থিক বাজারে দুর্নীতি মোকাবেলা করা।

গত মাসে তার পরিবারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত ব্যয় থেকে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে নাম প্রকাশ করা হয়।
তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি আওয়ামী লীগের প্রধান। গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

লন্ডনে তার খালার সহযোগীদের সাথে সম্পর্কিত সম্পত্তি ব্যবহারের কারণে সিদ্দিক তীব্র তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। টিউলিপ সিদ্দিক জোর দিয়ে বলছেন যে তিনি কোনও ভুল করেননি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষণশীল নেতা কেমি ব্যাডেনোচের কাছ থেকে তাকে মন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে এক চিঠিতে স্যার কায়ার বলেছেন যে তার জন্য “দরজা খোলা রয়েছে”। মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড সংক্রান্ত স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস বলেছেন যে তিনি সিদ্দিকের সাথে সম্পর্কিত “অন্যায্যতার কোনও প্রমাণ সনাক্ত করতে পারেননি”।

“লন্ডনের সম্পত্তির মালিকানা বা দখলের ক্ষেত্রে টিউলিপ সিদ্দিক অথবা তার স্বামীর নেয়া পদক্ষেপের সাথে সম্পর্কিত কোনও অনৈতিকতার প্রমাণ আমি খুঁজে পাইনি, যদিও এটি সংবাদমাধ্যমের মনোযোগের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে।”

“একইভাবে, আমি আওয়ামী লীগ (অথবা এর সহযোগী সংগঠন) বা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সাথে জড়িত প্রশ্নবিদ্ধ সম্পত্তির মালিকানা বা দখল সম্পর্কিত কোনও অস্বাভাবিক আর্থিক ব্যবস্থার কোনও ইঙ্গিত পাইনি।”

“এছাড়াও, আমি এমন কোনও প্রমাণ পাইনি যে মিসেস সিদ্দিক এবং/অথবা তার স্বামীর আর্থিক সম্পদ, যা আমার কাছে প্রকাশিত হয়েছে, বৈধ উপায় ছাড়া অন্য কোনও উপায় থেকে এসেছে।” কিন্তু তিনি বলেন, এটা “দুঃখ জনক” যে সিদ্দিক তার ঘনিষ্ঠ পরিবারের বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের “সম্ভাব্য সুনাম ঝুঁকি সম্পর্কে ততটা সতর্ক ছিলেন না”।

Economist/15January/ZI/politics


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ