ভোলায় বাস মালিক সমিতির সঙ্গে সিএনজি, অটোরিকশা চালাকদের ভয়াবহ সংঘর্ষ- বাস ও সিএনজিতে আগুন।ভোলা বাসস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে। একে অপরের ওপর ধারালো অস্ত্র, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় ভোলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে যানবাহন চলাচল প্রায় ৪/৫ ঘন্টা বন্ধ ছিল। সংঘর্ষে বাস ও সিএনজিতে আগুনে বেশ কয়েকটি বাস ও সিএনজি পুড়ে যায় । সাংবাদিক সহ আহত হয়েছে অর্ধশত।
২৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উভয় পক্ষের মাঝে ইট পাটকেল, লাঠি নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষ লিপ্ত রয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বাস এবং অটো রিকশায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।সিএনজি চালিত অটোরিকশা গুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে। বাস স্ট্যান্ডের পাশে ফায়ার সার্ভিস অফিস থাকলেও আগুন লাগার অনেক পরে ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। পরে স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিস এসে কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
এদিকে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসতে দেরী করায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশী হয়েছে। স্থানীয় কোস্ট-গার্ড, নৌ-বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এমনকি বাস স্ট্যান্ডের পাশে ফায়ার সার্ভিস অফিস থাকলেও কেন তারা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না এ প্রশ্ন অনেকের।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক নিজে বাসস্ট্যান্ডে উপস্থিত হয়ে নৌ-বাহিনী, কোস্ট-গার্ড, উপজেলা প্রশাসন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় সংঘর্ষ ও আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রশাসনের পাহারায় বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভোলা জেলা বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে বাস, সিএনজি অবস্থান করা নিয়ে তাদের ভিতরে মনস্তাত্ত্বিক দন্ধ রয়েছে, কে বা কারা এখানে থাকবে তা নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই সমস্যা হত।
এ নিয়ে আজ সন্ধার পর উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাদে এতে উভয় পক্ষের কিছু লোকজন আহত ও বাস ও সিএনজি আগুনে পুড়ার ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে যৌথ-বাহিনী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলের সহযোগিতায় সংঘর্ষ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাস চলাচল সহ সকল কিছু স্বাভাবিক হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইননুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Economist/2February/ZI/bhola