অবশেষে পাকিস্তানে ট্রেন জিম্মি নাটকের অবসান।পাকি স্তানের সামরিক বাহিনীর বিশেষ কমান্ডো অভিযানে সব যাত্রী উদ্ধার, ৩৩ বিদ্রোহী নিহত।মঙ্গলবার (১১ মার্চ) পাকিস্তানের ইরান সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান প্রদেশের পাহাড়ি এলাকা বোলান পাসের কাছে কোয়েটা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনে হামলা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি। রেললাইন উড়িয়ে দিয়ে পাহাড়ের নিচে একটি টানেলের কাছে থামাতে বাধ্য করে যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে। ৯টি বগি দখলে নেয় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
সেই সময় প্রায় সাড়ে জাফর এক্সপ্রেস নামক ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিল। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম
জানায়,জিম্মির ঘটনায় সব যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটি র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।পাকিস্তানের জনপ্রিয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, উদ্ধার অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৩৩ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। সেই সঙ্গে টানা দুদিন ধরে চলা এই উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
নিজ মুখে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন বেঁচে ফেরা এক যাত্রী। জানান নিজের লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা। বলেন, সবাই চিৎকার করে কাঁদছিলো। ট্রেনের মাটিতে শুয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচানো চেষ্টা করছিলো। চারদিকে শুধুই গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন এসে আমাদের নামতে বলে। পেছনে না তাকিয়ে সোজা চলে যেতে বলে। তাদের আদেশ না মেনে উপায় ছিলো না।
দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এই অভিযানের ফলে ৩৩ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে এবং সব জিম্মিকে পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলকে বলেন, ১১ মার্চ রাত ১টার দিকে বিদ্রোহীরা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ট্রেনটি লাইনচ্যুত করে, যা সন্ত্রাসবাদের এক নৃশংস ঘটনা। দুঃখজনকভাবে তাদের বর্বরতার কারণে ২১ যাত্রী নিহত হন। নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং জিম্মিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ দক্ষতা ও সতর্কতার সঙ্গে এটি পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাদের দাবি ছিলো, বালুচ রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি। সেইসাথে ফিরিয়ে দিতে হবে গুম হওয়া স্বাধীনতাকামীদের।
Economist/14March/ZI/crimes