• বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতে সামরিক কৌশলের বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল পাকিস্তান

ফ্রান্সে বায়োমেট্রিক জটিলতায় বাংলাদেশীসহ এশিয়ান নাগরিকদের দারুণ ভোগান্তি

ইয়াসির আরাফাত খোকন, ফ্রান্স
আপডেট : বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫

ইউরোপের অভিবাসন নীতিতে নানা পরিবর্তনের মধ্যে পর্তুগালের মাধ্যমে রেসিডেন্সি নেওয়া অনেক এশিয়ান নাগরিকসহ বাংলাদেশিরা এখন পড়েছেন জটিলতার মধ্যে। ফ্রান্সসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে চলাচলের সময় তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা বায়োমেট্রিক তথ্যের কারণে দেখা দিচ্ছে আইনি ও প্রশাসনিক বাধা।বিশেষ করে সেগুলো নাগরিক যারা পর্তুগালে বৈধভাবে রেসিডেন্সি পেলেও, অন্যান্য শেনজেন দেশগুলিতে চলাচলের সময় ‘ডাবল ফিঙ্গার প্রিন্ট’ বা তথ্য মেলেনি– এমন অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেপ্তার ও ডিপোর্টেশনের মত ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন নিয়মিত অভিবাসীরা। বেশিরভাগ অভিবাসী ইউরোপে এসে বিশেষ করে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি, জার্মানিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে। পরবর্তীকালে আশ্রয় আবে দন যাচাই-বাছাই করে অল্প কিছু আবেদন গ্রহন করে আশ্রয় প্রদান করে অভিবাসীদের।

ইইউর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয় আবেদনকারীর সংখ্যা ১ মিলিয়নেরও বেশি।২০২৩-২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি আবেদন আসে  সিরিয়া, আফগানিস্তান, তুরস্ক, ভেনিজুয়েলা ও বাংলাদেশ থেকে।

অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব এশিয়ান নাগরিকদের রেসিডেন্সি হয় ইনভেস্টমেন্ট বা স্পেশাল ভিসা প্রোগ্রামের আওতায় তবে তাদের বায়ো মেট্রিক তথ্য পুরো শেনজেন ডাটাবেইজে আপডেট না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী বাংলাদেশি নাগরিক জানান, ‘আমি লিগ্যাল রেসিডেন্সি পেয়েছি পর্তুগালে এবং পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু আমি বিভিন্ন সময় ফ্রান্স ও ইইউ অন্য দেশে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে আমার ফিঙ্গার মিলেনা, তারা সন্দেহ করে আমাকে আট কায়। আমি অনেক হেনস্তার স্বীকার হয়েছি। এই সমস্যা নিয়ে পর্তুগাল সরকারি দপ্তরের বক্তব্য, এই সমস্যা সমা ধানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বায়োমেট্রিক সিস্টেম কে আরও সমন্বিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে সেই প্রক্রিয়া ধীরগতির হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমা ধান হচ্ছে না। ফিঙ্গারপ্রিন্টের এই অদৃশ্য দেয়াল এখন বহু এশিয়ান রেসিডেন্টের জন্য ভয় ও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপে বৈধভাবে থেকেও যারা এমন বাধায় পড়ছেন, তাদের জন্য এখন জরুরি সমন্বিত নীতিমালা ও দ্রুত তথ্য হালনাগাদ করার দাবি নিয়মিত অভিবাসীদের।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে পাড়ি জমানো মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে আশ্রয় আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া বেশ জটিল এবং কঠিন। অনেক সময় প্রথম দেশে দেওয়া আবেদন বাতিল হয়ে গেলে, তারা বাধ্য হন অন্য কোনো দেশে গিয়ে নতুনভাবে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করতে। কিন্তু এই চেষ্টায় সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় আগের দেওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা বায়োমেট্রিক তথ্য।

ইইউর ডাবলিন রেগুলেশন অনুযায়ী, কোনো আশ্রয়প্রার্থী প্রথম যেই দেশে ফিঙ্গার দেয় বা আবেদন করে, সেই দেশই তার আশ্রয়ের জন্য দায়ী। ফলে যদি কেউ আবেদন বাতিলের পর অন্য দেশে গিয়ে পুনরায় আবেদন করেন, তবে সেই দেশ তার বায়োমেট্রিক তথ্য দেখে আগের দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে পারে।

আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, অনেক আবেদনকারী এই নিয়মের কারণে দীর্ঘদিন অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটান। কেউ কেউ গোপনে জীবনযাপন করতে বাধ্য হন, আবার কেউ কেউ অবৈধভাবে কাজ করে টিকে থাকার চেষ্টা করেন।তবে আইনি ব্যবস্থার মধ্যে কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। যদি আবেদনকারীকে নির্ধারিত সময়সীমার (সাধারণত ৬ মাস) মধ্যে আগের দেশে ফেরত না পাঠানো যায়, তবে নতুন দেশেই তার আবেদন গ্রহণ করতে বাধ্য হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

Economist/19March/ZI/Paris


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ