• বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতে সামরিক কৌশলের বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল পাকিস্তান

২৯ এপ্রিলকে “জাতীয় বিপদাপন্ন ও দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবস” ঘোষণা করার প্রস্তাব জানালো ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ

জাবেদ নুর শান্ত ,কক্সবাজার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

২৯ এপ্রিলকে “জাতীয় বিপদাপন্ন ও দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবস” ঘোষণা করার প্রস্তাব জানালো ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ!১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল উপকূলীয় বাংলাদেশে আঘাত হানা দেশের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিহত লাখো মানুষের স্মরণে, কক্সবাজারে স্মারকলিপি প্রদান করেছে পরিবেশ ও জলবায়ুভিত্তিক সংগঠন ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও তরুণ জলবায়ু অধিকা রকর্মী মোঃ জাবেদ নূর শান্ত আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে ২৯ এপ্রিলকে “জাতীয় বিপদাপন্ন ও দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবস” হিসেবে সরকারিভাবে ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, ১৯৯১ সালের এই দিনে উপকূলে আঘাত হানা দুর্যোগে প্রায় ১ লাখ মানুষ প্রাণ হারান, কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং উপকূলের অবকাঠামো, জীবিকা ও সমাজব্যবস্থায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে।

ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ মনে করে, দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তা কেবল অতীতের শোক স্মরণ নয়, বরং দুর্যোগ সচেতনতা, প্রতিরোধ সক্ষমতা এবং আগাম প্রস্তুতির একটি জনমুখী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ জাবেদ নূর শান্ত বলেন,
“২৯ এপ্রিল আমাদের জন্য শুধু শোক নয়, একটি শিক্ষা। এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিলে জনগণের মধ্যে দুর্যোগ নিয়ে সচেতনতা ও প্রস্তুতির বার্তা যাবে, এবং বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তার অঙ্গীকার ও সক্ষমতা দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন,“দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ হিসেবে আমাদের এই দিবসটি প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দুর্যোগের ভয় নয়, প্রতিরোধ ও সহনশীলতার শিক্ষা নিয়ে বড় হতে পারে।”ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিহত সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শ্রদ্ধা জানায়।

এছাড়াও, ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্পে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে একযোগে কাজ করছে। পরিবেশ ও জলবায়ুভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দুর্যোগ সহনশীল পরিকল্পনা গঠনে এই চলমান অংশগ্রহণ সংগঠন টির কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ আশা করছে, সরকার দ্রুত এই প্রস্তাবটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে ২৯ এপ্রিলকে “জাতীয় বিপদাপন্ন ও দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবস” হিসেবে ঘোষণা করবে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

Economist/28April/ZI/Climate


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ