• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি মাহবুব,সহ সভাপতি কামাল, সম্পাদক মমতাজ ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের মই দৌড় দেখতে হাজির হাজারো মানুষ ধনবাড়ীতে নানা আয়োজনেরমধ্য দিয়ে কৃষক দলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ভোলায় র‍্যাবের অভিযানে ১২ মামলার আসামি আটক ১ যুক্তরাজ্যের দ্য ইকোনমিস্টের চোখে এবছর বিশ্বে ‘বর্ষসেরা দেশ’ বাংলাদেশ হাসিনা ও জয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমান উঠানামায় বিঘ্ন দীর্ঘ এক দশক পরে জনপ্রিয় “আমার দেশ” প্রকাশিত জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ের মধ্যে গাড়ির ধাক্কায় নিহত ২ আহত অর্ধশতাধিক ধনবাড়ীতে মাশরুম চাষে আত্মকর্মসংস্থানের হাতছানি

যুক্তরাষ্ট্রে ভুয়া চিকিৎসার নামে ১৫০ মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ, বাংলাদেশির ১৫ বছরের কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি
আপডেট : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রে ভুয়া চিকিৎসার নামে ১৫০ মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ, বাংলাদেশির ১৫ বছরের কারাদণ্ড

ব্যাথানাশক ওষুধ এবং ভুয়া চিকিৎসার নামে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ১৫০ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেয়ার অপরাধে বাংলাদেশি আমেরিকান মাশিয়াত রশিদকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় মিশিগানের ফেডারেল কোর্ট একইচক্রের সদস্য হিসেবে ১২ ডাক্তারসহ আরও ২১ জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মিশিগানের ওয়েস্ট ব্লুমফিল্ডের বাসিন্দা মাশিয়াত রশিদকে গত ৩ মার্চ এই দণ্ড প্রদান করা হয়। এ মামলায় ২০১৭ সালে মাশিয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে নিজে থেকেই দোষ স্বীকার করেন মাশিয়াত।

মিশিগান ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস এটর্নি সাইমা শফিক মহসিন এবং বিচার বিভাগের ক্রিমিনাল ডিভিশনের সহকারি এটর্নি জেনারেল নিকলাস এল ম্যাকুয়াইড এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আদালতের রায় অনুযায়ী, মিশিগান এবং ওহাইও স্টেটভিত্তিক ‘ট্রাই-কাউন্টি ওয়েলনেস গ্রুপ’র সিইও মাশিয়াত রশিদকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রতারণামূলকভাবে হাতিয়ে নেয়া অর্থ ফিরিয়ে দিতে হবে মেডিকেয়ার কোম্পানিকে। এছাড়া তার আরও সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাণিজ্যিক ও আবাসিক রিয়েল এস্টেট রাষ্ট্রের বরাবরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রশিদ ছিলেন ওই ট্রাই-কাউন্টি ওয়েলনেস গ্রুপের সিইও। এর অধীনে বেশ কিছু ক্লিনিক চালু করা হয় যারা সত্যিকারের কিছু রোগীর সাথে আদৌ অসুস্থ নন এমন গরীব লোকদের সংগ্রহ করে। পরে ব্যাথানাশক ইঞ্জেকশনের আদৌ প্রয়োজন না হলেও অনেক মানুষকে তা প্রদান করা হয়। এভাবে অনেক মানুষকে আসক্ত করা হয় ওষুধ সেবনে। শতশত রোগী চিকিৎসার নামে মোটা অংক ড্র করা হয় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে। তদন্তের সময় অনেকে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, ঐ ক্লিনিকে বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে যতটুকু ব্যাথা ছিল, পরবর্তীতে চরম আকার ধারণ করে। অর্থাৎ ঘনঘন ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছে তাদেরকে। বেশ কটি ক্লিনিকে প্রতিনিয়ত আর্ত-চিৎকার শোনা গেছে। রোগীরা কষ্টে কান্নাকাটি করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে উল্লেখ করেছেন, মাশিয়াত রশিদের নেটওয়ার্কের চিকিৎসকরা ৮ বছরে এতবেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের আর কোন অঞ্চলে ঘটেনি।

ভয়াবহ এ প্রতারণার মাধ্যমে মাশিয়াত ব্যক্তিগত জেট ক্রয় করেন। দামী গাড়ি ছাড়াও স্ত্রীর জন্যে মূল্যবান স্বর্ণালংকার ক্রয় করেছেন তিনি। নিজের জন্যে বিশ্বে সবচেয়ে মূল্যবান ঘড়ি, টাই, স্যুট, জুতা ক্রয় করেছেন। মাশিয়াতের এমন চালচলনের বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন মিশিগান ও ওহাইওতে বসবাসরত প্রবাসীরাও।
সূত্র- প্রবাস জার্নাল
বিডিনিউজ ইউরোপ টুয়েন্টি ফোর ডটকম/৭মার্চ/জ ইসলাম


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ