মনটা আজ ভালো নেই। কেন নেই তাও জানিনা। আমি এমনই মন ভালো না থাকার মানুষ। অচীন এক দুঃখে আমি যেন বহুকালের নিরব প্রকৃতি। যেখানে বাতাসে অক্সিজেনের ভাটা। দারুণ শ্বাসকষ্টে ভোগা একটি প্রাণ যেন! মনে হচ্ছে বহুপক্ষীয় আগ্রাসনের শিকার একটি প্রাণ। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অথবা পতঙ্গের সমতূল্য আমার অস্তিত্ব। ব্যকূল কিশোরীর কাঙ্খিত মন খুঁজে ফেরা মন না পাওয়া জীবনের মতো জীবন। আমার মনটা কেনযে এতো মন্দ হয় জানিনা! মোমের মতো গলিত এক মন হয়ে কেনইবা আমার জন্ম গ্রহণ! এক সূর্য গ্রহণে আমি মা হওয়ার পথে ছিলাম। আসন্ন সন্তানের দাদীমা আমাকে বললেন, আজ শোয়া যাবেনা,বসা যাবেনা,হাঁটতে হবে ধীরগতিতে, যেন ঘুরে না পড়ি। তিনি আরও বললেন, কাঁচা হলুদ হাতে মাখতে। যেন শিশুর শরীরে গ্রহণ কালীন ছায়া না থাকে। আমি হলুদ বাটা মেখে সমান জায়গায় সাবধানে হাঁটছিলাম।
বাড়ির প্রত্যেকের নজরদারিতে। সেদিন সে সূর্য গ্রহনের ছায়া আঁধারিতে সুস্হ শিশুর স্বপ্নে যেভাবে বিচলিত ছিলাম! আজ আবারো আমার তেমন বিচলিত হওয়া। আজ সূর্য গ্রহণ নেই, আজ আমি আরাধ্য সন্তানের অপেক্ষায় নেই! অথচ সেই সূর্য গ্রহণের রহস্যময় পরিবেশের চাইতেও অস্হির সময় ক্ষেপনে! যেখানে পুরো পৃথিবীর জন্ম সন্ধিক্ষণের অস্হির প্রসব ব্যথায় আমি জর্জরিত। মনে হচ্ছে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত একটি জাতি জন্ম হওয়ার ক্ষন গননা! যেখানে আমি নই অসংখ্য শঙ্কিত নারী প্রসব ব্যাথায় জর্জরিত। যেখানে দাদীমারা তসবিহ জপে আরাধনা করছেন সুস্হ কৃষ্ণ অথবা ধবল শিশুর! এখন হাতে হলুদ মাখবার সুখকর ক্ষণ নয়। শুধু শিশুর সুস্হ কান্না শুনবার অপেক্ষায় কোটি পিতা। আমি সেই শিশুর নতুন মা হচ্ছি যে শিশু মাদক দেখেনি! যে শিশু ইসলাম ধর্মকে শান্তির ধর্ম হিসাবে প্রতিটি ধর্মাবলম্বী দের পাশে সেবক হতে পারে। বস্তুত আমি মা, আমি নারী তাই আমি উন্নত জাতি উপহার দেওয়ার আশায় উদ্বেলিত! করোনা মহামারীতে আমি তরুণ ভাই হারানো পরীক্ষিত বোন! অকালে প্রেমিক ত্যাগের ব্যাথায় বিদ্ধ মন! স্বামী হারানো অস্হির বিধবা! যার সাদা শাড়ির আঁচলে মুছে দিতে চাই এদেশের যত দুঃখ বেদনা কান্না!! আমার মনটা আসলেই অজানা ব্যাথায় কূলহীন সাগরে সাতারে!
লেখক-নাজনীন সরওয়ার কাবেরী
সাংগঠনিক সম্পাদক,
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কক্সবাজার জেলা।
বঙ্গবন্ধুর শোষনমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে
যিনি হেটে চলেছেন জেলার সর্বত্র।
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৫এপ্রিল/জই