• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি মাহবুব,সহ সভাপতি কামাল, সম্পাদক মমতাজ ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের মই দৌড় দেখতে হাজির হাজারো মানুষ ধনবাড়ীতে নানা আয়োজনেরমধ্য দিয়ে কৃষক দলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ভোলায় র‍্যাবের অভিযানে ১২ মামলার আসামি আটক ১ যুক্তরাজ্যের দ্য ইকোনমিস্টের চোখে এবছর বিশ্বে ‘বর্ষসেরা দেশ’ বাংলাদেশ হাসিনা ও জয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমান উঠানামায় বিঘ্ন দীর্ঘ এক দশক পরে জনপ্রিয় “আমার দেশ” প্রকাশিত জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ের মধ্যে গাড়ির ধাক্কায় নিহত ২ আহত অর্ধশতাধিক ধনবাড়ীতে মাশরুম চাষে আত্মকর্মসংস্থানের হাতছানি

ঝিনাইদহে আম চাষে লোকসানের শঙ্কা

শেখ ইমন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১

আম চাষে লোকসানের শঙ্কা

ঝিনাইদহে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি। বাগানে পানি না থাকায় আমে দেখা দিয়েছে কালো দাগ। এর ফলে চলতি মৌসুমে লোকসানের আশঙ্কা করছেন জেলার বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় আমবাগানের জমির পরিমাণ ২ হাজার ৮৮২ হেক্টর। এসব বাগান থেকে আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার মেট্টিক টন। কিন্তু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সদর উপজেলার, চন্ডিপুর, কামতা মির্জাপুর, কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আমবাগানে গিয়ে দেখা যায় বাগানে ঝুলছে আম্রপলি, ল্যাংড়া, খিরসা, হাড়িভাঙ্গা, হিমসাগরসহ নানা জাতের আম। বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি ঝরে পড়ছে, নিয়মিত প্রতিষেধক দিলেও এর সুফল পাচ্ছেন না বাগান মালিকরা।

চন্ডিপুর গ্রামের বাগানের মালিক খয়ের উদ্দিন বলেন, কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি নেই। আম গাছের গোড়ায় পানি নেই কিন্তু তারপরও আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম এবার আম ভালো হবে। এভাবে পড়তে থাকলে গাছে আম টিকবে না।
একই গ্রামের ব্যবসায়ী কাদের উদ্দিন বলেন, গত বছর ২ বিঘা আম বাগান কিনেছিলাম। গতবার তো
আম্ফানে সব আম পড়ে গেছে, এবারও ২ বিঘা জমির আমবাগান কিনেছি। কিন্তু বৃষ্টি না হাওয়ার কারণে সব শেষ, আমরা তো এবার পথে বসে যাব।

আমচাষীদের সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম বলেন, মৌসুমের শুরুতে আমের মুকুল ভালো ছিল। এখন পর্যন্ত আমে যে গুটি রয়েছে তা ধরে রাখতে পারলে বাগান মালিকরা ভালো ফলন পাবে। কিন্তু এখন আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে।

এর প্রতিকারে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এ অবস্থায় আম বাগানে ৭ থেকে ১০ দিন পর পর ঢালাও পদ্ধতিতে সেচ দিতে হবে। সেচ দেওয়ার পর আমগাছের গোড়ায় মাঞ্চিং করে দিতে হবে। তাতে কিছুটা রস ধরে থাকলে গুটি পড়া রোধ হবে। একইসঙ্গে বোরন, দস্তা ও জিংক জাতীয় যে ঔষধ পাওয়া যায় তা গাছে প্রয়োগ করলে সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/৪মে/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ