• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জীবন রক্ষার্থে কতিপয় ব্যক্তিবর্গ কে মানবিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল: আইএসপিআর সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে

ভোলায় দ্বৈত জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার- প্রতারক নারীকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ

সাব্বির আলম বাবু ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

ভোলায় দ্বৈত জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার- প্রতারক নারীকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
ভোলায় দ্বৈত জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একাধিক বিয়ে ও প্রতারনার অভিযোগে করা মামলায় নূর নাহার নামে এক নারী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাগর বেকারী সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতারনার সু-নির্দিষ্ট এমন অভিযোগে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে একই অভিযোগে মোঃ ওমর ফারুক নামের অপর এক পুলিশ সদস্যকেও আসামী করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন।থানা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত নারী ভোলা পৌরসভার মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা নুর নাহার পিতা রফিকুল ইসলাম, মাতা হনুফা বিবি পরিচয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। যার এনআইডি নং-৬৪০১৩৫৮২১০, তাং-০১ জানুয়ারী ১৯৯১। নুর নাহার নিজের ওই জাতীয় পরিচয়পত্রটি গোপন রেখে জালিয়াতী করে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে তামান্না আকতার পিতা শামসুল হক দুলাল, মাতা মনোয়ারা বেগম নামে আরও একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তুলেন। যার এনআইডি নং-৯৫৭৮৭৬২৯০৯, তাং ১০ মে ১৯৯৭। নুর নাহার নিজের পরিচয় গোপন রেখে একাধিক আইডি খুলে বিভিন্ন লোকের সাথে বিয়ের প্রতারনা করে আসছিলো বলে পুলিশ জানিয়েছে। তার এই প্রতারনার খপ্পড়ে পরে অনেক পুরুষ হয়রানীর শিকার হয়েছিলো। এক পর্যায়ে নুর নাহারের ভুয়া আইডি কার্ড খুলে বিয়ে বানিজ্যের বিষয়টি প্রকাশ পেলে প্রতারনা শিকার স্বামী মহিউদ্দিন ওই নারীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এবং নির্বাচন অফিস বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নির্বাচন অফিসের নজরে আসলে তারা ওই প্রতারক নারী নুর নাহার এর বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-২১, তাং- ৯-০৬-২০২১ইং। ওই মামলায় নুর নাহারকে পুলিশ ভোলা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাগর বেকারীর সংলগ্ন এলাকার একটি ফার্মেসী থেকে গ্রেফতার করেন। ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কাজল ইসলাম সঙ্গীয়ও ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন বলে জানান।এই মামলার বাদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, এই নারী তথ্য গোপন করে দুটি জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহণ করেন। যা আইন পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে তার সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর ভোটার তালিকা আইন ২০১০ এর ১৪ এবং ১৫ ধারায় মামলা তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী এ সংক্রান্ত অপরাধের সাজা কমপক্ষে ১ বছরের জেল ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা। ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গ্রেফতারকৃত এই নারীর বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে অসংখ্য মামলা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের দায়ের করা একটি আইডি কার্ড প্রতারনা মামলায় নুর নাহারকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।

বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৪জুন/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ