• শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জীবন রক্ষার্থে কতিপয় ব্যক্তিবর্গ কে মানবিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল: আইএসপিআর সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে

আল্লাহর পথে আহ্বানকারীর জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার:হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব সিলেট থেকে নিজস্ব কলামিস্ট
আপডেট : বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১

আল্লাহর পথে আহ্বানকারীর জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

আল্লাহর পথে আহ্বানকারীর জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

আল্লাহর পথে মানুষদের আহ্বান করা ওয়াজিব তথা আবশ্যক কাজ। এখন প্রশ্ন হলো- এ কাজ কি সবার জন্য আবশ্যক নাকি কিছু মানুষ আদায় করলে দায়িত্ব শেষ?

বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। তবে প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, এটা সবার জন্য ওয়াজিব নয়।

কিছু মানুষ আদায় করলেই হয়ে যাবে। তাই ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- সমাজে এমন কিছু লোক থাকবেন, যারা সর্বদা আল্লাহর দিকে মানুষদের আহ্বান করবেন।

এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত, যারা আহ্বান জানাবে সৎকর্মের প্রতি; নির্দেশ দিবে ভালো কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে- আর তারাই হলো সফলকাম। ’ -সূরা আলে ইমরান: ১০৪
অন্ধকার হতে আলোর দিকে, অজ্ঞতা হতে জ্ঞানের দিকে, মন্দ থেকে ভালোর দিকে মানুষকে আহ্বান করা জরুরি বিষয়।

পাশাপাশি মন্দ কাজ দেখলে তা প্রতিহত করা ঈমানের দাবি।
হাদিসের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ দেখবে, সে তা নিজ হাত দ্বারা প্রতিহত করবে।

যদি সে সক্ষম না হয়, তবে তার জিহ্বা দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি সে সক্ষম না হয়, তবে অন্তর দ্বারা প্রতিহত করার চিন্তা ও পরিকল্পনা করবে। আর এটাই ঈমানের দুর্বল স্তর। ’ –সহিহ মুসলি
বর্ণিত আয়াত ও হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করা নৈতিক দায়িত্ব। তবে আহ্বানকারীদের থাকা প্রয়োজন বিশেষ কিছু গুণ।

আল্লাহর পথে আহবানকারীর যে সব গুণ থাকা বাঞ্চনীয় তন্মধ্যে আহবানকারীর আলেম তথা জ্ঞানী হওয়া। অর্থাৎ ইসলাম সম্পর্কে পুরো জ্ঞান থাকা।

প্রত্যেক কাজ যেহেতু নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। তাই আল্লাহর পথে আহবানকারীর নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি। লোক দেখানো, দুনিয়ার সম্মান বা উচ্চাসন পাওয়ার আশায় এ কাজ করা যাবে না।

দাওয়াতের ক্ষেত্রে কম গুরুত্বের চেয়ে অধিক গরুত্বপূর্ণ বিষয় দিয়ে আরম্ভ করা। যেমন প্রথমে তাওহিদের দিকে আহ্বান করা। পরে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদির দিকে ধীরে ধীরে আহ্বান করা।

অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছেড়ে কম গুরুত্বের বিষয় প্রাধান্য না দেওয়া। যা ছিল নবী-রাসূল এবং সাহাবি-তাবেয়িদের কাজের পদ্ধতি। কাজেই সেসব পদ্ধতিসমূহকে আমাদের অনুসরণ করা দরকার।

আল্লাহর পথে আহ্বানকারীকে ধৈর্য্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে। নবী-রাসূলরা আল্লাহর পথে আহ্বান করার ক্ষেত্রে এ শিক্ষাই দিয়ে গেছেন।

আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকা নবী-রাসূলদের কাজ। যারা মানুষকে ওই পথে ডাকে তারা মহৎ কাজের অধিকারী। এমন মানুষদের প্রশংসা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ।

যারা মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করেন, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার। তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করবেন। সর্বোপরি তার জন্য রয়েছে ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে ও আপনাদেরকে উপরোক্ত কাজ গুলো আঞ্জাম দেওয়ার তাওফিক দান করেন আমিন। লেখকঃ- বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।

বিডিনিউজ ইউরোপ/২৮জুলাই/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ