• শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতে সামরিক কৌশলের বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল পাকিস্তান

মিস করছি প্রিয় ক্যাম্পাস ও বন্ধুদেরঃহিরা সুলতানা

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ জবি প্রতিনিধি ঢাকা
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০

মিস করছি প্রিয় ক্যাম্পাস ও বন্ধুদের

পুরাণ ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব নাম জগন্নাথ কলেজ। বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ সময় জুড়ে এই নামেই পরিচিত ছিল। ১৮৫৮ সালে ঢাকা ব্রাক্ষ্ম স্কুল নামে এর প্রতিষ্ঠা হয়। বালিয়াটির জমিদার ১৮৭২ সালে এর নাম বদলে জগন্নাথ স্কুল নামকরণ করেন। ১৮৮৪ সালে এটি একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর কলেজ এবং ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণীর কলেজে পরিণত হয়। ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ পাশের মাধ্যমে একটি পুর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ৭ একরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬ টি বিভাগ ও ২ টি ইন্সিটিউট রয়েছ। এর মধ্যে ২১০০০ বর্গফুটের একটি বিভাগ রয়েছে যার নাম একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ। বিভাগটিতে সকাল ৮:৩০ থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত ব্যস্ততা লেগে থাকত। কোনো ব্যাচ ক্লাস করতে ব্যস্ত থাকতো, কেউ কেউ আবার এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন নিয়ে ব্যস্ত। বিভাগের সেমিনার সবসময় পরিপূর্ণ থাকতো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে। একটু অবসর হলে শিক্ষার্থীরা চলে যেত ওপেন সেমিনারে। কেউ কেউ ওপেন সেমিনারে বসে গল্প করতো, আড্ডা দিত, আবার কেউ কেউ পড়াশোনা করতো। আড্ডা আর পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে নোটিশ বোর্ডের দিকে তাকাতো এটা দেখতে যে কোনো নোটিশ আছে কি না। ডিপার্টমেন্টের কম্পিউটার ল্যাবে সারাদিন ব্যস্ততা থাকতো কেউ বা কোনো দরকারি কাজে আবার কেউ বা কার্টুন দেখতো। ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়েও ব্যস্ত থাকতো। সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪ তম আবর্তনের বি সেকশনের শিক্ষার্থীরা মেতে থাকতো এক অন্যরকম আমেজে। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে আড্ডা, বন্ধুদের জন্মদিন পালন আরো কত কি! কিন্তু করোনা নামক কালো ছায়া তাদের সব আনন্দ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন সবাই গৃহ বন্দি। সবাই অপেক্ষা করছে আবার কবে আনন্দের জোয়ারে ভাসবে!
লিখেছেন
হিরা সুলতানা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বিডিনিউজ ইউরোপ/২৪ নভেম্বর/ জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ