• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি মাহবুব,সহ সভাপতি কামাল, সম্পাদক মমতাজ ধনবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের মই দৌড় দেখতে হাজির হাজারো মানুষ ধনবাড়ীতে নানা আয়োজনেরমধ্য দিয়ে কৃষক দলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ভোলায় র‍্যাবের অভিযানে ১২ মামলার আসামি আটক ১ যুক্তরাজ্যের দ্য ইকোনমিস্টের চোখে এবছর বিশ্বে ‘বর্ষসেরা দেশ’ বাংলাদেশ হাসিনা ও জয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমান উঠানামায় বিঘ্ন দীর্ঘ এক দশক পরে জনপ্রিয় “আমার দেশ” প্রকাশিত জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ের মধ্যে গাড়ির ধাক্কায় নিহত ২ আহত অর্ধশতাধিক ধনবাড়ীতে মাশরুম চাষে আত্মকর্মসংস্থানের হাতছানি

অভিন্ন রাজনৈতিক আশ্রয়-নীতির পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

কবির আহমেদ কূটনৈতিক বিশ্লেষক আন্তর্জাতিক ডেক্স থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪

অভিন্ন রাজনৈতিক আশ্রয়-নীতির পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।ইইউ পার্লামেন্ট বুধবার একগুচ্ছ আইন অনুমোদন করে রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত অভিন্ন নীতির পথ সুগম করেছে৷ তবে এ উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক রয়েছে৷অনেক তর্কবিতর্কের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত নিয়মকানুনের সংস্কারের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ দশটি আইনের আওতায় এই রাষ্ট্রজোটের বহির্সীমানায় আরো কড়া নিয়ম চালু হবে এবং সব সদস্য দেশ সম্মিলিতভাবে এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব বণ্টন করে নেবে৷ ফলে এবার থেকে শুধু গ্রিস ও ইটালির মতো দেশকে শরণার্থীদের ঢল আর একা সামলাতে হবে না৷ শরণার্থীরাও আর বিচ্ছিন্ন আশ্রয় নীতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইইউ-র একাধিক সদস্য দেশে স্বীকৃতির চেষ্টা চালাতে পারবেন না৷ উল্লেখ্য, এর আগে ইইউ-র বেশিরভাগ সদস্য দেশের সরকার সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল৷ ইউরোপীয় কমিশন সেই সব আইন কার্যকর করার উপায় বাতলে দেওয়ার পর ২০২৬ সাল থেকে সেই উদ্যোগ কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে৷

আশ্রয় সংক্রান্ত অভিন্ন নীতি কার্যকর হলে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ বহির্সীমানার বাইরেই যাচাই করা হবে৷ যাদের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনা কম, তাদের সেখান থেকেই যত দ্রুত সম্ভব কোনো ‘নিরাপদ’ দেশে প্রত্যর্পণ করা হবে৷ সেই লক্ষ্যে নতুন সীমানা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে৷ যারা প্রবেশের সুযোগ পাবে, ইইউ-র বিভিন্ন দেশে তাদের বণ্টন করা হবে৷ ফলে গ্রিস ও ইটালির মতো দেশকে আর একা বহিরাগতদের দায়িত্ব সামলাতে হবে না৷ কোনো সদস্য দেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে৷

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এই বোঝাপড়াকে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সংহতির উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন৷ ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন পার্লামেন্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর ফলে একই সঙ্গে ইউরোপের সীমান্ত নিরাপদ রাখা এবং অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে৷ তাঁর মতে, কোন পরিস্থিতিতে কোন বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে, এবার থেকে ইইউ দেশগুলিই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে৷ আদম ব্যবসায়ী ও মানব পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী ও সংসদীয় ক্ষমতাকেন্দ্র এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে উৎসাহ দেখালেও একাধিক শরণার্থী সহায়তা সংগঠন ইইউ-র নতুন অভিন্ন নীতির সমালোচনা করেছে৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনলের মতে, এর ফলে আরো বেশি মানবিক বিপর্যয় ঘটবে৷ রেড ক্রস ইইউ-র উদ্দেশ্যে শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য মানবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে৷ ব্রাসেলসে ইইউ পার্লামেন্ট ভবনের সামনেও প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখা গেছে৷

ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরাও ভিন্ন কারণে এই সংস্কারের বিরোধিতা করছে৷ হাঙ্গেরির সরকার এমন অভিন্ন নীতির কড়া বিরোধিতা করে আসছে৷ বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান নিজের দেশে শরণার্থীদের ঢলের আশঙ্কা প্রকাশ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ ফ্রান্সের বিরোধী নেতা মারিন ল্য পেনও সেই উদ্যোগের সমালোচনা করে জুন মাসে  আসন্ন ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর তা বাতিল করার হুমকি দেন৷ ফলে প্রায় দশ বছর ধরে বহু তর্কবিতর্ক ও দরকষাকষির পর ইইউ পর্যায়ে আশ্রয় সংক্রান্ত সম্মিলিত ও অভিন্ন উদ্যোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দূর হচ্ছে না৷

bdnewseu/11April/ZI/EU


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ