ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভের ইনানী পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত পর্যন্ত পর্যটকের ভিড়। কক্সবাজার সাগর পাড়ের হোটেল, গেস্ট হাউসও এখন ভরে গেছে পর্যটকে। পর্যটকদের কাছে এখন সবচেয়ে বেশি পছন্দের জায়গা হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ।প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই আজ ঈদের পরের দিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে দীর্ঘ সৈকতকে মাতিয়ে তুলছে লাখো পর্যটকের হাঁক-ডাক। কেউ সাগরের ফেনিল ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে, কেউ রজততটে বালু নিয়ে খেলছেন, কেউ বা বিচে বাইক চালিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতেছেন।
রাজধানী ঢাকার ওয়ারী থেকে আসা কাইসার-শারমিন দম্পতি জানান, ‘প্রচণ্ড গরম পড়ছে। বালুচরও তপ্ত হয়ে উঠছে।
তবুও সাগরের ফেনিল ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে শান্তি পাচ্ছি আমরা।’ তারা জানান, বিকেলে তারা লাবণী পয়েন্ট ছেড়ে মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকতে যাবেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী মাহবুব জানান, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বিআরটিসির দ্বিতল বাস আরেক আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা ও সকাল ১০টায় বাস দুটি কক্সবাজার সাগর পাড়ের লাবনী পয়েন্ট থেকে ছেড়ে যায়।
বাসের নিচতলায় প্রতিজন ৬০০ ও ওপরের তলায় ৭০০ টাকা আসা-যাওয়ার ভাড়া।মেরিন ড্রাইভের ইনানী শফির বিলের সাগরলতা রিসোর্টের ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে রেল চালু হওয়ার পর থেকে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে মেরিন ড্রাইভমুখী পর্যটকের সংখ্যাও বেড়েছে। মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন রিসোর্টগুলোতেও এখন কক্ষ খালি নেই।
bdnewseu/12April/ZI/Coxsbazar