অকালেই নিভে গেল শিশু আবু ছায়েদের জীবন প্রদীপ।ভোলার চরফ্যাশনে ডোবায় পড়া টমটমের নিচে চাপা পড়ে ৯ বছরের শিশু (আবু ছায়েদ) নামের এক পথচারী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অদ্য ২৬ জুন (বুধবার) উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন সড়কে এদূর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ বাখের সরদারের ছেলে।শিশুর বাবা বাখের সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল থেকেই শিশু আবু ছায়েদ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। আবু ছায়েদ কে দেখতে না পেয়ে আত্মীয় স্বজনরা চারদিকে খোঁজা খোঁজি শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে মাইকিং করা হয়। বিকাল বেলা শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে চৌমূহনী বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশে শিশুর জুতা পড়ে থাকতে দেখে আত্মীয় স্বজনদের সন্দেহ হয়। পরে ওই পানি ভর্তি ডোবায় তল্লাশী চালিয়ে শিশুর মরদেহ দেখতে পান। তাদের দাবী টমটম চালক (রুহুল আমিন) শিশু ছায়েদকে চাপা দিয়ে হত্যার পর শিশু চায়েদের মরদেহ ডোবায় ফেলে পালিয়ে গেছেন।
এলাকাবাসীরা জানা যায়, সকাল ১১ ঘটিকার সময় শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে চৌমূহনী বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি টমটম ডোবায় পড়ে যায়। তৎক্ষনিক টমটম চালক রুহুল আমিন তার দূঘর্টনা কবলিত টমটম রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এবং সকাল ১১ টার দিকে তার আত্মীয় স্বজনরা ডোবা থেকে টমটমটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে বিকালে ওই স্থানের ডোবায় একটি শিশুর মরদেহ দেখে তারা থানা পুলিশকে খবর দেন। শশীভূষণ থানার পুলিশ নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেন। এবং স্থানীয়দের ধারণা নিহত শিশু পথচারী ছিলেন। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারানো টমটমটি সড়কের পাশে থাকা শিশুটিকেসহ পানি ভর্তি ডোবায় পরে যায়। এতেই টমটমের নিচে চাপা পরেই শিশুটি মৃত্যু হতে পারে।
শশীভূষণ থানার ওসি মোঃ এনামুল হক গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এবং ময়নাতদন্তের জন্য শিশু আবু ছায়েদ এর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
bdnewseu/27June/ZI/bhola