অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে জার্মানির আবারও স্থল সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা৷স্থল সীমান্তে আবারো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছে জার্মানি৷ অনিয়মিত পথে অভিবাসন ঠেকাতে এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের এমন পদক্ষেপ৷ মঙ্গলবার (১০সেপ্টেম্বর) অবশ্য অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে এবং নিরাপত্তার খাতিরে জার্মান সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপের এমন ঘটনা নতুন নয়৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজার সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর)জার্মানির সীমান্তে জুড়ে কড়াকড়ি আরোপের কথা ঘোষণা করেন৷ অর্থাৎ, স্থল পথে জার্মানির সীমান্ত পারাপারের সময় ভ্রমণকারীদের পাসপোর্ট চেক করবে নিরাপত্তারক্ষীরা৷ আগামী সোমবার থেকে সীমান্তে চালু হতে যাওয়া এই কড়াকড়ি ছয় মাস বলবৎ থাকবে৷ তবে এরপর আর কড়াকড়ি মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে জানা যায়নি৷ মূলত, কেউ যেন ভিসা ছাড়া জার্মানিতে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে সরকার৷
বিদ্যমান অভিবাসন নীতির বিষয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই চাপে রয়েছে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার৷ কয়েক সপ্তাহে আগে দেশটির জোলিঙ্গেন শহরে এক সন্দেহভাজন সিরীয় অভিবাসীর ছুরি হামলায় তিনজন নিহত হওয়া ঘটনায় বিষটি আবারো সামনে এসেছে৷ এরইমাঝে কট্টর ডানপন্থিদল এএফপডি অভিবাসন ইস্যুতে সরকারের উপর চাপ অব্যহত রেখেছে৷
সরকারের বক্তব্য:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অনিয়মিত উপায়ে জার্মানিতে প্রবেশ ঠেকানো এবং সেই সাথে ইসলামিস্ট সন্ত্রাসী ওবং অপরাধী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷‘‘এই ধরনের কার্যক্রম থেকে আমাদের দেশের বাসিন্দাদের সুরক্ষা দিতে যা করা দরকার তার সবটাই আমরা করছি৷ আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে আমাদের শক্তিশালি অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছি৷’’
সূত্র জানায়, সরকারের এমন পদক্ষেপের বিষয়ে এরইমধ্যে ইউরোপিয়ান কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, তিন হাজার ৭০০ কিলোমিটারের স্থল সীমান্তে জার্মানির প্রতিবেশী হিসেবে রয়েছে ইউরোপের ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবুর্গ, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক এবং পোল্যান্ড৷
জার্মান সীমান্ত থেকে ফেরানোদের গ্রহণ করবে না অস্ট্রিয়া:
সীমান্তে পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণে জার্মান সরকারের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া৷ সেইসাথে জার্মান সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো কাউকে দেশটি গ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটির সরকার৷
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরহার্ড কার্নার বলেন, ‘‘জার্মানি থেকে ফেরত পাঠানো কাউকে অস্ট্রিয়া গ্রহণ করবে না৷’’তিনি বলেন, ‘‘জার্মানির অবশ্যই কোনো ব্যক্তিকে ওই দেশে ফেরত পাঠানোর অধিকার রয়েছে যেই দেশটিতে সেই ব্যাক্তির আশ্রয়আবেদন প্রক্রিয়া চলমান আছে৷ কিন্তু এরজন্য অবশ্যই একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি প্রয়োজন৷’’
bdnewseu/11September/ZI/German