• বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করছে কিছু গুষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতে সামরিক কৌশলের বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল পাকিস্তান

দুই স্ত্রীর মামলায় স্বামীর লাশ ১০ বছর ধরে বারডেমের হিমঘরে

গোলাম মোস্তফা রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট
আপডেট : বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

দুই স্ত্রীর মামলায় স্বামীর লাশ ১০ বছর ধরে বারডেমের হিমঘরে।হিন্দু নাকি মুসলিম দুই স্ত্রীর দাবির বিরোধে দশ বছর ধরে ঢাকার বারডেমের হিমঘরে রয়েছে রা জিব নন্দি ওরফে রাজিব চৌধুরী ওরফে খোকন নন্দী ওরফে খোকন চৌধুরীর লাশ।বুধবার (২২ জানু য়ারি) আদালতে চলমান এই মামলাটি চাঞ্চল্যে সৃষ্টি করেন। দুই স্ত্রীর দাবির প্রেক্ষিতে বিচারিক আদা লতে হিন্দু বলে দাবি করা এক স্ত্রীর আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে ছেন হাই কোর্ট। মঙ্গলবার দুুপুরে বিচারপতি জাকির হোসে নের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রাজিব চৌধুরী ওরফে খোকনের চিতা নাকি কবর, দাহ নাকি দাফন- দীর্ঘ এই দশ বছরেও সুরাহা হয়নি। এর কারণ, খোক নের দুই স্ত্রী, একজন হিন্দু, একজন মুসলিম। দুই পক্ষ ই খোকনের লাশের শেষ কৃত্য করতে চান নিজ নিজ ধর্মমতে। এ কারণে বিষয় টি গড়ি য়েছে হাইকোর্টে। বর্তমানে খোকনের লাশ বারডেমের হিমা গারে রয়ে ছে। কিন্তু লাশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ জুন খো কন চৌধুরী অসুস্থ হন। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা আক তার খানম ওরফে বাবলি রাজধানীর বারডেম হাসপা তালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৪ সালের ২৬ জুন তিনি মারা যান। এরপর হাসপাতাল থেকে তার সাথে থাকা দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা আকতার খানম ওরফে বাব লি স্বামীর লাশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন।

তখন খোকন চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী মিরা নন্দী এবং তার দুই সন্তান বাবুল ও চন্দনা এতে বাধা দেন। তারা দাবি করেন, তাদের বাবা খোকন নন্দীর লাশ তারা নিয়ে হিন্দুধর্ম মতে সৎকার করবেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আর এই দুপক্ষের বিরোধের কারণে তৎকালীন রমনা থানা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পারেনি।

২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকার সহকারী জজ আদা লত (দেওয়ানি মামলা নম্বর ২৫২/১৪, ঢাকা) বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় ও তদার কিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে খোকনের লাশটি সংরক্ষণে রাখার আদেশ দেয়। এরপর দশ বছর পেরিয়ে গেলেও লাশটি হিমঘরে পড়ে রয়েছে।
Economist/22January/ZI/bd


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ