• বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যান্সারে আক্রান্ত আগস্ট মাসে ঢাকা সফর আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে পাখির আঘাতে ইঞ্জিনে আগুন, জরুরী অবতরণ ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নতুন পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আলম সিয়াম ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আবারও এক ধাপ বাড়লো আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্রয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে সৌদির সাথে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতে সামরিক কৌশলের বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে উস্কানির’ অভিযোগে ইতালিতে দুই বাংলাদেশি আটক

বাংলাদেশি কানাডীয়ান বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ মোর্শেদ বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো নির্বাচিত

লায়লা নুসরাত, কানাডা
আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫

বাংলাদেশি কানাডীয়ান বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ মোর্শেদ বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির (TWAS) ফেলো নির্বাচিত হলেন।উন্নয় নশীল দেশসমূহে বিজ্ঞান অগ্রগতির জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমি (TWAS) ড. মুহাম্মদ মোর্শেদকে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ১ জানুয়ারি থেকে তাঁর ফেলোশিপ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে।১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমি ১১২টি দেশ থেকে মোট ১,৪৬৩ জন ফেলো নির্বাচিত করেছে। এদের মধ্যে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে ৩৯২ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

২০২৩ সালে এই অঞ্চল থেকে ৪৭ জন ফেলো নির্বাচিত হন। ড. মুহাম্মদ মোর্শেদ হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১৭তম বিজ্ঞানী যিনি এই সম্মাননা লাভ করেছেন। মাইক্রো বায়োলজি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং জাতীয় ও আন্ত র্জাতিক পর্যায়ে গবেষণা, শিক্ষা ও ক্লিনিক্যাল সেবায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য ড. মোর্শেদকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, উন্নয়নশীল দেশে বিজ্ঞান যোগাযোগে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে, যা তিনি রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ড. মোর্শেদ একমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী যিনি এই সম্মাননা লাভ করেছেন। তিনি বর্তমানে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (UBC)প্যাথলজি ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের ক্লিনিক্যাল অধ্যাপক এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবেকর্মরত। ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি এই পদে আছেন।

১৯৯৬ সালে কানাডায় যাওয়ার আগে তিনি আন্তর্জাতিক ডায়রিয়াল ডিজিজ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডি ডিআর,বি), ঢাকা শিশু হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন।

জুনোটিক এবং ভেক্টর-বাহিত রোগের একজন আন্তর্জা তিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে ড. মোর্শেদ বিশেষত অবহেলিত এবং বিশেষায়িত রোগ নির্ণয় এবং জনস্বাস্থ্য গবেষণায় ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য:অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (UBC)’র প্যাথলজি ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগ থেকে ক্লিনিক্যাল সেবায় উৎকর্ষতার জন্য পুরস্কার (২০১৬), শীর্ষ ২৫ কানাডিয়ান অভিবাসী পুরস্কার (Canadian Immigrant ম্যাগাজিন, ২০১৭),কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন মন্ত্রীর সম্মানসূচক উল্লেখ (২০১৭), ডিস্টিংগুইজড মাইক্রোবায়োলজিস্ট পুরস্কার (কানাডিয়ান কলেজ অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস, ২০১৯), প্রবাসী ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস (২০২০), ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (UBC)’র প্যাথলজি ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষায় উৎকর্ষতার জন্য পুরস্কার (২০২৩)

ড. মোর্শেদের এই অর্জন বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান অগ্রগতিতে তাঁর অবিচল প্রতিশ্রুতি এবং অবদানের প্রমাণ।

Economist/21January/ZI/CA


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ